স্বদেশ ডেস্ক:
পিরোজপুরের ইন্দুরকানী উপজেলার চণ্ডিপুর কেসি টেকনিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক মো. কাউয়ুম জোমাদ্দাকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করা হয়েছে। তিনি এখন পিরোজপুর সদরের স্থানীয় ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন।
গতকাল বুধবার ইন্দুরকানীর জোমাদ্দার হাঁটে প্রকাশ্যে স্থানীয় রফিকুল ইসলামের (রোতাপ) নেতৃত্বে হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে হামলা চালানো হয়। হামলায় গুরুত্বর আহত হন কাউয়ুম জোমাদ্দার।
আহত কাউয়ুম জোমাদ্দার বলেন, ‘কেসি টেকনিক্যালের অধ্যাক্ষ মো. ইউনুস স্বপল শীল হত্যা মামলায় জেলে যাওয়ায় আমি ভারপ্রাপ্ত অধ্যাক্ষের দায়িত্ব পালন করি। অধ্যাক্ষের সাথে রফিকুল ইসলামের রোতাপের দীর্ঘদিন ব্যক্তিগত শুত্রুতা থাকায় সেই সুযোগে কলেজের বিভিন্ন সুযোগ-সুবিধা নেওয়া ও অধ্যাক্ষকে চাকরিচ্যুত করার জন্য বিভিন্ন পর্যায় রোতাপ অনেক টাকা খরচ করেন।’
সহকারী অধ্যাপক বলেন, ‘অধ্যাক্ষ আবার স্বপদে বহাল থাকায় রফিকুল ইসলাম কলেজের সুযোগ সুবিধা না পাওয়ায় আমার কাছে সেই খরচের সুদ মূলে সুম্পূর্ণ টাকা দাবি করে এবং কৌশলে আমার কাছ থেকে ফাঁকা চেক ও স্ট্যাম্পে স্বাক্ষর নেয়। তাতে বড় অংকের টাকা বসিয়ে আমার কাছ থেকে টাকা আদায় করার হুমকি দেয়।’
সহকারী অধ্যাপক কাউয়ুম জোমাদ্দার আরও বলেন, ‘ওই ঘটনার জের ধরে বুধবার রোতাপ ও অহিদুল তার দলবল নিয়ে বাজারে এসে প্রকাশ্যে হাতুড়ি ও দেশীয় অস্ত্র দিয়ে মারধর করে ও আমাকে লাঞ্চিত করে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে রফিকুল ইসলাম রোতাপ বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ করা হয়েছে, তা মিথ্যা। কাউয়ুম জোমাদ্দাদের কাছে আমার ছোট ভাই টাকা পাবে। সেই টাকা চাইতে গেলে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতি হয়।’
ইন্দুরকানী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমান বলেন, ‘চন্ডিপুর কেসি টেকনিক্যাল কলেজের সহকারী অধ্যাপক কাউয়ুম জোমাদ্দার সঙ্গে টাকা নিয়ে মারামারির কথা শুনেছি। থানায় অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’